ইমানের প্রয়োজন
কোন ইমানের প্রয়োজনীয়তা
আজ সমগ্র তথা পুরো পৃথিবীতে মুসলমানদের উপর নির্যাতন হচ্ছে ,সে মুসলিম দেশ কিংবা অমুসলিম দেশ, মুসলিম জনগোষ্ঠী পল্লি কিংবা মুসলিম জনগোষ্ঠী নগর।
অমুসলিম জনগোষ্ঠী পল্লি কিংবা অমুসলিম জনগোষ্ঠী নগর।
এ কথা স্বীকার করা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নাই যে, মুসলিম খুধাতুর্ আজকে মুসলিম জাতিকে নিস্প্রাণ করতে চায়, নাম নিশানা মুছে দিতে চাই ,ধূলিসাৎ করে দিতে চাই, সম্পূর্ণ রূপে বিনষ্ট করে দিতে চাই,এর মূল কারণ কি, আজকে বর্তমান ডিজিটাল মুসলমান তা
দের ঈমানী বারুদ কে ভুলে গেছে। বারুদ আমি এই কারণে বলেছি কারণ বারুদ দ্বারা প্রতিক্রিয়া বেশি হয় অনুরূপ ভাবে এক ঈমানদার ব্যাক্তির কাছ থেকে আরেক ব্যাক্তি অনুপ্রাণিত হবে।
আজ মুসলমান তাদের ঈমানী শক্তি ভুলে গেছে আজ মুসলমান তারিক বিন যিয়াদ কে ভুলে গেছে, মোহাম্মদ বিন কাসিম কে ভুলে গেছে ,যারা ঈমানী শক্তি দ্বারা বিজয় লাভ করেছে।
বর্তমান রাজত্বকাল আবার জাহিলিয়াতের দিকে পদার্পণ করতে চলেছে । আবার ও বাতিল দ্বারা জলমগ্ন হতে চলেছে। আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে অনেক নবী ও রাসূল পাঠিয়েছেন একই দিন দিয়ে। অনুরপ ভাবে সর্বশেষ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ও পাঠিয়েছেন।
কিন্তু হযরত মুহাম্মদ সাঃ এমন এক নবী যিনি আসার পর নবুয়াত কে একেবারে পরিপূর্ণ করে দেওয়া হয়েছে। তিনাকে অন্য কোনো নতুন ধর্ম নিয়ে পাঠানো হয়নি। বরং, যখন সমাজে উৎপথ অন্যায় অবিচার জুলুম নির্যাতন জলমগ্ন ও বিরাজমান ছিল । তখন তিনাকে সমাজকে উত্তমরূপে সুসজ্জিত করার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেইসময় তিনাকে সুসংবাদ দানকারী ও ভীতি প্রদর্শনকারী ও রাহমাতুল্লিল আলামিন হিসেবে পাঠানো হয়েছে।
মুসলমানদের কাছে তাদের কোরআন ও হাদিস আছে কিন্তু তাদের মধ্যে কোরআন হাদিসের শিক্ষা নেই। আমরা একে অপরকে ভালো মন্দ বলে দিন কাটাচ্ছি। কে কখন কাকে গালি দিচ্ছে সেটাই দেখছি।
আজকে মুসলমানদের মধ্যে টুপি,দাড়ি নিয়ে ঝগড়া।
আজ মুসলমান আরেক মুসলমানের শত্রু
তুই শিয়া, তুই হানাফী ,তুই হাম্বলী, তুই মালেকী,তুই সুন্নি।
কিন্তু মুসলমান এটা বুঝতে পারছে না যে যখন তাদেরকে বাতিলেরা মারছে তখন তারা না শিয়া না সুন্নি না হানাফী না মালেকী না হাম্বলী না শাফী দেখছে বরং গাজর কাটা কাটছে। যখন মুসলমানের একা অপড়ে নিজেদের মধ্যে খেলছে তখন কি আর অন্যেরা ছাড়ে তারাও মুসলমানদের ফুটবল খেলা খেলছে। একবার আমি একটি ছোট গল্পঃ শুনে ছিলাম যে একটি শহরে এসছিল তখন সে তার জীবনে প্রথমবার একটি খেলা দেখল ফুটবল খেলা। সে অবশ্যই জানেন এটি কোন ধরনের খেলনা কারণ সে তার জীবনে দেখেনি এমন ধরনের খেলা ।
সে দেখল একটি বলকে সবদিক থেকে লোকেরা মারছে বল কখনো কখনো বাইরে চলে যাচ্ছে আবার তাকে নিয়ে এসেছে আবার সবাই লাথি মারছে ।তারপরে যখন সে তার গ্রামে চলে এলো গ্রামের বয়স্কদের সামনে তখন সে বলল এটা কোন ধরনের খেলা সবাই লাথি মারছে থাকে তখন বয়স্ক বলল বলটি হালকা থাকার কারণে সবাই তাকে লাথি মেরে খেলছিল যদি বল টি ভারি হতো তাহলে কেউ তাকে খেলত না।
আর এটাই হচ্ছে আজকে বর্তমান ভারতে মুসলমানদের অবস্থা ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা অতি সংকীর্ণ কিন্তু তাদের মধ্যে ভাতৃত্ববোধ যেটা সেটা একেবারে শেষ হয়ে গেছে।যদি সংকীর্ণ মুসলমানেরা একত্রিত হয়ে যদি থাকতো তাহলে তাদেরকে কেউ ফুটবল খেলা খেলতে পারত না।
আমরা নবীর আদর্শ ভুলে গেছি,যে আদর্শ মানলে জিরো হিরো হয়ে যাই। সুন্নাতে রাসূল কে আঁকড়ে ধরে রাখতে হবে।
মুসলমানের মুখ দিয়ে কখনো গালি বের হতে পারে না ।যে মুখ দিয়ে কুরআনের আয়াত তেলাওয়াত করা হয় যে মুখ দিয়ে হাদিস পড়া হয় , সে মুখ দিয়ে কখনো , যদি সে সত্যিকারের মুসলমান হয়ে থাকে তাহলে কোন দিনই গালি বেরোতে পারে না।
কোথায় গেল সেই সাহাবীদের আচরণের পরিচয় , একবার রাস্তা দিয়ে ইহুদী যাচ্ছিল তখন সে পথের মধ্যে একটি পাথর দেখল তখন সে বলে উঠলো মনে হয় রাস্তা দিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সাহাবী পথ অতিক্রম করেনি।
আর আজকে রাস্তা দিয়ে চলতে গেলে দেখি বাতিলপন্থী হকপন্থী কে মারছে তবুও আমরা আমাদের মুখে বন্ধ করে রাখছি। আসলে আমরা খোদার ভয় ভুলে গেছি ।আমাদের দিলের মধ্যে কিছুদিনের দল গ্রাস করে বসে আছে।
মুমিনের রক্ত কোনোদিন বাতিল পন্থীদের সামনে মাথানত করতে পারে না।
আমাদের হারিয়ে যাওয়া ঈমানী শক্তি দরকার কারণ, নতুন করে একটা জিনিস পাওয়ার চেয়ে হারানো জিনিস খুঁজে পাওয়ার মাঝে আনন্দ বেশি।
আজকে মুসমানদের অবস্থা বোবার মত,
দেখতে আছে কিন্তু বলতে নেই, বলতে আছে কিন্তু হক কথা বলতে নেই।এটা কোনো মুসলমানের পরিচয় হতে পারে না। হক কে হক বাতিল কে বাতিল বলে মেনে নেওয়ার নামই মুসলমান।
মোহাঃ মোস্তাক আহমেদ
আসলে ইমান বলে কথা
ReplyDeleteI have learned so many things from your blog, keep sharing it Continuesly, and achieve the best reward from Almighty Allah.
ReplyDeleteThank you for your motivation
Delete